৪১তম বিসিএস পরীক্ষার তারিখ পেছাতে আজ মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থীরা।
৪১তম বিসিএস পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখ ১৯ মার্চ৷ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এই তারিখ পেছানোর দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করেছে ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ৷ তাঁদের দাবি, ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজের হল খোলা ও করোনার টিকা কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে পুনঃ নির্ধারণ করতে হবে৷
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত হওয়া মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ৪১তম বিসিএসের কিছু পরীক্ষার্থী।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সুমন নামে এক পরীক্ষার্থী বললেন, ‘এর আগে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের কর্মকর্তারা যখন বিসিএসের তারিখ ঘোষণা করেন, তখন দেশে করোনা সংক্রমণের হার কম ছিল৷ তাই আমরা তারিখটিকে স্বাগত জানিয়েছিলাম৷ এখন যেহেতু করোনা সংক্রমণের হার আবার বেড়েছে, হল বন্ধ, সবাই বাড়িতে অবস্থান করছেন, তাই তারিখ পেছানো দরকার৷ বিসিএসসহ চাকরির পরীক্ষাগুলোর সঙ্গে আমাদের গোটা পরিবারের স্বপ্ন জড়িত৷ আমরা চাই, একটা সুস্থ পরিবেশে পরীক্ষা দিতে৷ সবকিছু যেখানে বন্ধ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা বিসিএস পরীক্ষা দিতে চাই না৷’
সুমন আরও বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে এখন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আবাসিক হলও বন্ধ৷ এর উদ্দেশ্য, করোনা যাতে না ছড়ায়৷ তাহলে আমরা যাঁরা চাকরির পরীক্ষার্থী, তাঁদের কি জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই? পিএসসির সম্মানিত কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের দাবি, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা বিসিএস দিতে চাই৷ বিসিএস পরীক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের করোনার টিকা নিশ্চিত করার পরই বিসিএস পরীক্ষার আয়োজন করতে হবে৷ এ বিষয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷’
বেলা দেড়টার দিকে মানববন্ধন শেষ হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি ৪১তম বিসিএসের তারিখ ঘোষণা করে সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৯ মার্চ এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
দুই হাজার ১৬৬ শূন্য পদে প্রার্থী নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। এরমধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে ৩২৩ জন, সাধারণ ক্যাডারে ৬৪২ জন, প্রফেশনাল ও টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৬১৯ জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ৮৯২ জন, সহকারী শিক্ষক প্রশিক্ষণের জন্য ১৩ জনসহ মোট দুই হাজার ১৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।